সৌমিত্র রয় ( Chief Moderator & System Analyst )

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ফেসবুকে এই ছবিগুলো বেশ ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি সর্বপ্রথম জানা যায় ডা. জাহিদ হোসেনের করা একটি পোস্ট থেকে যিনি একজন পেইন, প্যারালাইসিস, আর্থ্রাইটিস ও রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। বর্তমানে ধানমন্ডির ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে উনার চেম্বার রয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর উনি একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান যে একজন রোগী এসেছেন সারা শরীরে তীব্র ব্যথা ও মাংসপেশীতে দূর্বলতা নিয়ে। রোগীর ভাষ্যমতে তার দ্বিতীয় স্ত্রী কালো যাদু করে তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বস্তা সেলাইয়ের সুই ঢুকিয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

এই তথ্যগুলোর পাশাপাশি ডা. জাহিদ ওই পোস্টে রোগীর শরীরের বিভিন্ন অংশের কয়েকটি এক্স-রে এর ছবিও শেয়ার করেন। পরবর্তীতে ২৭ সেপ্টেম্বর এই বিষয়টি নিয়ে উনি আরও একটি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে ডা. জাহিদ জানান রোগী পেশায় একজন ড্রাইভার। দুই মাস আগে থেকে নাকি সে শরীরে ব্যথা ও ফোলা দেখে। চামড়ায় কোনো সুই ফুটানোর দাগ অথবা রক্তপাত তখন খেয়াল করেনি। রোগীকে মানসিকভাবে অসুস্থ মনে হচ্ছেনা। তবে দশ বছর আগের কিছু কাটার দাগ তার শরীরে আছে।

অনেকভাবে বিভিন্ন কৌশলে তাকে জিজ্ঞেস করার পরও তার একই জবাব সে এই কাজ করেনি। পিঠের সুইগুলো দেখে মনে হয়েছে সে নিজে এগুলো ঢুকাতে পারবে না। রোগীর ভাষ্যমতে দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে অনেকদিন ধরেই তার দাম্পত্য কলহ চলছিলো। তার দ্বিতীয় স্ত্রীই হয়তো কালো যাদু করে অথবা অজ্ঞান করে সুইগুলো ঢুকিয়েছে। রোগীর প্রথম স্ত্রী ও রোগীর ভাইয়েরও একই ধারণা। কুমুদিনী মেডিকেল কলেজের সার্জনদের মতামত এতোগুলো সুই (৯৬টি দৃশ্যমান) অপারেশন করে শরীর থেকে বের করা সম্ভব না। যে সুইগুলো বেশি অসুবিধা করছে সেগুলো বের করা হবে। রোগীকে ঢাকা মেডিকেল পাঠানো হয়েছে। রোগী কিছুটা সুস্থ হলে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে।

তথ্যসূত্র : ডা. জাহিদ হোসেন

Join the Conversation

1 Comments

  1. Your email address will not be published. Required fields are marked *